Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wp-user-frontend domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/lawlex.xyz/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
অন্যায়ভাবে চেক ডিজঅনার মামলা হলে রক্ষা পাবেন যেভাবে – আইন সমাচার
হোম দেশের আইন অন্যায়ভাবে চেক ডিজঅনার মামলা হলে রক্ষা পাবেন যেভাবে
দেশের আইন

অন্যায়ভাবে চেক ডিজঅনার মামলা হলে রক্ষা পাবেন যেভাবে

চেক ডিজঅনার
শেয়ার করুন

চেক ডিজঅনার মামলা বাংলাদেশের আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে চেকের ব্যবহার অত্যন্ত প্রচলিত। তবে, কোনো কারণে চেক বাউন্স বা ডিজঅনার হলে, চেকগ্রহীতা আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে পারেন। এই ব্লগে চেক ডিজঅনারের কারণ, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ, আইনের ধারাসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

১. চেক ডিজঅনারের কারণ

চেক ডিজঅনার বা বাউন্সের কয়েকটি কারণ হলো:

  • চেক প্রদানকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলে চেক ডিজঅনার হয়।
  • চেকে প্রদানকারীর সই ভুল বা মিসম্যাচ হলে ব্যাংক চেকটি ডিজঅনার করতে পারে।
  • চেকের নির্দিষ্ট ফরম্যাট বা অন্য কোনো নিয়ম মেনে না চলার ফলে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
  • চেক প্রদানকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকলে চেক ডিজঅনার হয়।
  • তারিখবিহীন চেক উপস্থাপন করা হলে ।
  • যে তারিখে চেক উপস্থাপন করা করা হবে, চেকে উল্লিখিত তারিখ উপস্থাপিত তারিখের পরের তারিখ হলে ।
  • চেক প্রদানকারীর স্বাক্ষর না থাকলে বা স্বাক্ষরে কোন প্রকার পার্থক্য থাকলে অথবা স্বাক্ষরে কিছুটা অমিল থাকলে ।
  • চেক প্রদানকারী কর্তৃক চেক স্টপ করে রাখলে।
  • তিন বারের বেশি চেক উপস্থাপন করা হলে।
  • অসম্পূর্ন চেক হলে অথবা এনডোর্সমেন্ট না থাকলে।
  • চেকে জাল এনডোর্সমেন্ট প্রদান করলে।
  • চেকের মধ্যে কোন ধরণের পরিবর্তন বা পরিবর্তনের চেষ্টা করলে যেমন – প্রাপকের নাম / টাকার পরিমান / হিসাব নাম্বার, রাউটিং নাম্বার, চেক নাম্বার ইত্যাদি ।
  • জাল স্বাক্ষর অথবা অননুমোদিত স্বাক্ষর।
  • কর্পোরেট সীল না থাকা।
  • সঠিক টাকার পরিমান, চেক নাম্বার এবং হিসাব নাম্বার না থাকা ।
  • সঠিক ব্যাংক/শাখায় চেক উপস্থাপন করা না হলে ।
  • হিসাব বন্ধ / ডরমেন্ট / ব্লক করা থাকলে ।
  • গ্রাহকের কাছ থেকে চেক অনারের নির্দেশনা পাওয়া না গেলে ।
  • ডুপ্লিকেট চেক উপস্থাপন করা। যে চেক পূর্বে পেমেন্ট করা হয়েছে।
  • সঠিক চেক গ্রহীতা না হলে (চেক প্রদানকারীর নির্দেশনার সাথে চেক গ্রহীতার মিল পাওয়া না গেলে) ।
  • হাই ভ্যালু চেক অনুপযুক্ত শাখায় উপস্থাপন করা।
  • চেক একটিভেট করা না থাকলে।
  • চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমান এবং গ্রাহক কর্তৃক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রদানকৃত টাকার পরিমান একই না হলে।
  • চেক পেমেন্ট করার জন্য ৭ দিন পূর্বে ব্যাংকে নোটিশ প্রদান করা না থাকলে।
  • ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম করলে।
  • ট্রান্সাকশন প্রোফাইল (টিপি) অতিক্রম করলে।

২. আইনের ধারায় চেক ডিজঅনার মামলা

বাংলাদেশে চেক ডিজঅনারের মামলা করার জন্য ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১ (Negotiable Instruments Act, 1881) এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা রয়েছে। এর মধ্যে ধারা ১৩৮, ১৩৯ এবং ১৪১ চেক ডিজঅনার মামলার জন্য প্রযোজ্য। নিচে এই ধারাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

ক. ধারা ১৩৮: শাস্তি সংক্রান্ত

এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো চেক অপর্যাপ্ত ব্যালেন্সের কারণে বা অন্য কোনো বৈধ কারণে ডিজঅনার হয়, তবে চেক প্রদানকারী দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে। এখানে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক হলো:

  • শাস্তি: চেক প্রদানকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে এক বছরের কারাদণ্ড বা চেকের অংকের দ্বিগুণ জরিমানা।
  • অবস্থান: অপরাধটি তখনই সংঘটিত হয় যখন চেক প্রদানকারী চেকটি নগদায়নের জন্য দেয় কিন্তু সেটি ব্যাংক দ্বারা ডিজঅনার হয়।

খ. ধারা ১৩৯: ধারার স্বত্ব

ধারা ১৩৯ অনুযায়ী, চেক ডিজঅনার হলে আদালতে প্রমাণের দায়িত্ব প্রদানকারীর ওপর থাকে। অর্থাৎ চেক প্রদানকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে চেকের মাধ্যমে কোনো প্রতারণা হয়নি বা চেকটি বৈধ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়নি।

গ. ধারা ১৪১: বিচার কার্যক্রম

ধারা ১৪১ অনুযায়ী, চেক ডিজঅনারের মামলা আদালতে কীভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধারায় বিচার কার্যক্রমের সময়সীমা, আদালতের ক্ষমতা, এবং মামলার বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে।

৩. চেক ডিজঅনারের প্রক্রিয়া

চেক ডিজঅনারের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:

ক. ডিজঅনার নোটিশ প্রদান:

চেক ডিজঅনার হলে, চেকগ্রহীতা ৩০ দিনের মধ্যে প্রদানকারীকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়। নোটিশে উল্লেখ থাকতে হবে চেক ডিজঅনারের কারণ এবং পরিশোধের অনুরোধ। চেক প্রদানকারীকে ১৫ দিনের মধ্যে চেকের টাকা পরিশোধ করার জন্য সময় দেওয়া হয়।

খ. মামলা দায়ের:

যদি ১৫ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী টাকা পরিশোধ না করেন, তবে চেকগ্রহীতা ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।

গ. আদালতের কার্যক্রম:

মামলা দায়ের হলে আদালত প্রথমে অভিযোগটি প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করে এবং যদি অভিযোগটি সঠিক মনে হয় তবে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করে। চেক প্রদানকারীকে আদালতে হাজির হতে হয় এবং তার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হয়।

ঘ. শাস্তি প্রদান:

মামলার শুনানি শেষে যদি প্রমাণিত হয় যে চেক প্রদানকারী দোষী, তাহলে আদালত তাকে ধারা ১৩৮ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করে।

৪. চেক ডিজঅনার মামলার নতুন নিয়ম

২০২৪ সালে চেকের মামলার ক্ষেত্রে কয়েকটি নতুন নিয়ম বা পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নতুন নিয়মগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুততর করা এবং চেক প্রদানকারী ও গ্রহীতার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী প্রবর্তন করা। নিচে চেক ডিজঅনার মামলার ২০২৪ সালের গুরুত্বপূর্ণ নতুন নিয়মগুলোর সারাংশ তুলে ধরা হলো:

ক. মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি:

২০২৪ সালের নিয়ম অনুযায়ী, চেক ডিজঅনার মামলার নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্য আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার শুনানি এবং চূড়ান্ত রায় দিতে হবে।

খ. ইলেকট্রনিক নোটিশের বৈধতা:

চেক ডিজঅনারের ক্ষেত্রে নোটিশ পাঠানোর প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, চেক ডিজঅনারের নোটিশ ইমেইল বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও পাঠানো যাবে এবং তা আইনিভাবে বৈধ বলে বিবেচিত হবে।

গ. প্রতিবাদমূলক টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা:

যদি চেক প্রদানকারী নোটিশ পাওয়ার পর অর্থ ফেরত না দেন, তবে আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে তিনি নির্দিষ্ট একটি অংকের টাকা আদালতের ট্রেজারিতে জমা দিতে পারবেন, যা প্রতিপক্ষের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি মামলার নিষ্পত্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ঘ. বিচার পূর্ববর্তী মধ্যস্থতার সুযোগ:

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মামলার আগে বা মামলার মাঝামাঝি সময়ে উভয় পক্ষ আদালতের নির্দেশে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন। এটি বিশেষত ছোট ও মাঝারি লেনদেনের ক্ষেত্রে সময় এবং ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে।

৫. পুনরায় চেক জমা দেওয়ার সীমাবদ্ধতা:

চেক ডিজঅনার হলে, চেকটি পুনরায় জমা দেওয়ার সুযোগ সীমিত করা হয়েছে। এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একই চেক একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বারই জমা দেওয়া যাবে, যা পূর্বে ছিল অসীম বার।

এই নতুন নিয়মগুলোর ফলে চেক ডিজঅনার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি এবং আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা নিশ্চিত করা যাবে।

৬.  মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ রায়সমূহ

চেকের মামলার ক্ষেত্রে কিছু উল্লেখযোগ্য আদালতের রায় আছে যা মামলার প্রক্রিয়া ও আইনের ব্যাখ্যায় সহায়ক। কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

  • সুপ্রিম কোর্টের রায়:  এই রায়ে আদালত বলেছে, চেক প্রদানকারীর ওপর প্রমাণের দায়িত্ব বর্তায়। এই মামলার রায়ের আগে চেক ডিজ-অনার হলেই কেবল চেকদাতাকে সাজা দেওয়া হতো। সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের ফলে এখন থেকে চেকের বৈধ বিনিময় প্রমাণে ব্যর্থ হলে কোনো চেকদাতাকে সাজা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে চেকপ্রাপ্তির বৈধ কারণ থাকতে হবে। যদি প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকারের ভিত্তিতে চেক প্রদান করা হয় এবং সেই প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকার যদি বাস্তবায়িত না হয় তাহলে চেক প্রদানকারীর টাকা পরিশোধে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং চেক গ্রহীতার কোনো অধিকার তৈরি হবে না।
  • বিভিন্ন হাইকোর্টের রায়: চেক ডিজঅনারের মামলায় সুনির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে মামলা দায়ের না করলে সেই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।

৭. মামলা এড়ানোর উপায়

চেক ডিজঅনারের ঝামেলা এড়ানোর জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:

  • সঠিকভাবে চেক লেখা: চেকের সমস্ত অংশ সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং সঠিক সই করুন।
  • অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করুন: চেক প্রদানের পূর্বে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
  • নিয়মিত ব্যাংক লেনদেন চেক করুন: নিয়মিত ব্যাংক লেনদেনের ওপর নজর রাখুন যাতে কোনো ভুল না হয়।

৮.  মামলার প্রভাব

চেকের মামলা ব্যবসায়ী বা সাধারণ ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। একদিকে, ফৌজদারি মামলা হওয়ার কারণে ব্যবসায়িক খ্যাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক জরিমানার ফলে আর্থিক চাপ বাড়তে পারে।

চেকের ডিজঅনারের মামলা করলে উভয় পক্ষকেই আইনি লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হয়। ফলে মামলা-মোকদ্দমার দীর্ঘসূত্রিতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সময়মতো এবং সতর্কতার সাথে আর্থিক লেনদেন করা অত্যন্ত জরুরি।

৯. উপসংহার

চেকের মামলা বাংলাদেশে ব্যবসায়িক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৮৮১ সালের নীগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারা চেক ডিজঅনার সংক্রান্ত মামলার জন্য প্রযোজ্য এবং এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করে আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। সঠিকভাবে চেক ব্যবহার এবং ব্যাংক লেনদেনের সতর্কতার মাধ্যমে এই ধরনের আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

আইনের প্রতি সচেতন থেকে এবং সময়মতো লেনদেনের মাধ্যমে চেক ডিজঅনারের ঝামেলা এড়ানো যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যায় পড়লে সঠিক আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত, যা আর্থিক নিরাপত্তা এবং ব্যবসায়িক খ্যাতি রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১০. জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

ক. চেক ডিজঅনার হলে প্রথম পদক্ষেপ কী?

উত্তর: প্রথম পদক্ষেপ হলো চেক প্রদানকারীকে লিখিতভাবে একটি নোটিশ প্রদান করা। নোটিশে চেক ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে এবং বাকি অর্থ পরিশোধের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। এই নোটিশটি চেক ডিজঅনারের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পাঠাতে হবে।

খ. চেক ডিজঅনার মামলা করার জন্য কতদিন সময় পাওয়া যায়?

উত্তর: নোটিশ পাঠানোর ১৫ দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি অর্থ পরিশোধ না করেন, তবে চেকগ্রহীতা নোটিশ পাঠানোর পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে মামলা করতে পারেন।

গ. চেক ডিজঅনারের শাস্তি কী হতে পারে?

উত্তর: ১৮৮১ সালের নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ধারা ১৩৮ অনুযায়ী, ডিজঅনারের শাস্তি হতে পারে এক বছরের কারাদণ্ড, চেকের অংকের দ্বিগুণ জরিমানা, অথবা উভয় শাস্তি। এটি আদালতের বিবেচনার ওপর নির্ভর করে।

ঘ. চেক ডিজঅনার মামলায় চেক প্রদানকারী কীভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন?

উত্তর: চেক প্রদানকারী চেকের মামলায় প্রমাণ করতে পারেন যে চেকটি বৈধ উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়নি অথবা কোনো প্রতারণামূলক চেক হিসেবে ইস্যু করা হয়নি। প্রমাণের দায়িত্ব সাধারণত চেক প্রদানকারীর ওপর থাকে।

ঙ. ডিজঅনার হওয়া চেকটি কি পুনরায় জমা দেওয়া যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, চেক ডিজঅনার হলে চেকটি পুনরায় জমা দেওয়া সম্ভব, তবে এর আগে চেক প্রদানকারীকে নোটিশ প্রদান করা আবশ্যক। যাই হোক, পুনরায় জমা দেওয়ার আগে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রদানকারীকে আর্থিক অবস্থার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।

(ফলো করুন আমাদের Google News, Facebook এবং Twitter পেজ)

শেয়ার করুন
লিখেছেন
আইন সমাচার - প্রধান প্রতিবেদক

আইন ও বিচার বিষয়ে এ বাংলা ব্লগ চালু করার উদ্দেশ্য হলো, সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় আইন সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা। আইন ও বিচার সম্পর্কিত যে কোন ধরনের তথ্য, ব্লগ আপডেট সবসময় পাঠকের সামনে তুলে ধরাই আইন সমাচার এর মূল লক্ষ্য। আমরা নিরপেক্ষ তথ্য সরবারহের জন্য সম্পূর্ণই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিনামূল্যে আইন বিষয়ক সমস্যার সমাধান, সেবা, সহায়তা করাও আ্রইন সমাচার এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

মন্তব্য লিখুন

Leave a Reply